বিটরুটের ১৬টি উপকারিতা ও অপকারিতা
কাঁচা রসুন খাওয়ার নিয়ম ও ১৯টি উপকারিতাপ্রিয় পাঠকবৃন্দ সকলকে আমার ওয়েবসাইটে স্বাগতম। আজকের এই আর্টিকেলে বিটরুটরে
উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরব যা আপনাদের অনেক উপকারে আসবে।
বিটরুট সম্পর্কে যারা জানতে চান তাদের জন্য এই আর্টিকেলটি অত্যন্ত কার্যকারী
অবদান রাখবে। বিটরুট একটি সবজি, যা আমাদের মানব দেহের জন্য অত্যন্ত পুষ্টিকর
খাদ্য।
বিটরুটতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ উপাদান তাছাড়া রয়েছে
ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন ও আয়রন ইত্যাদি। চলুন আর দেরি না করে
বিটরুটের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিই।
ভূমিকা
বিটরুট একটি শীতকালীন সবজি তবে এটি সারা বছরই পাওয়া যায়। বিটরুট রান্না করে এবং
সালাত করে খাওয়া হয়ে থাকে তাছাড়া বিটরুটের জুস খাওয়া হয়ে থাকে। বিটরুট একটি
পুষ্টিকর সবজি যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। বিটরুটে
প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকায় রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সাহায্য করে।
বিটরুটের সাধারণত গাঢ় বেগুনি বা লালচে-বেগুনি হয়ে থাকে। এটি মূলত দেখতে মূলার মতো
কিন্তু মূলার আকৃতির চেয়ে ছোট হয়। বিটরুট পুষ্টি গুণের দিক দিয়ে সুপার ফুড
হিসেবে পরিচিত লাভ করেছে। নিয়মিত বিটরুট খাবারের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করলে অনেক
পুষ্টিগুণ পেয়ে থাকবেন। বিটরুট একটি ঔষধি গুনসম্পন্ন সবজি।
বিটরুটের উপকারিতা ও অপকারিতা
বিটরুট আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত পুষ্টিকর খাদ্য হলেও এর উপকারিতা ও অপকারিতা
রয়েছে তা আমাদের জানা অত্যন্ত প্রয়োজন। নিম্নে বিটরুটের উপকারিতা ও অপকারিতা
সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরা হলো-
- বিটরুটে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকায় রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়াতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
- বিটরুটে ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে ও হজম ভালো রাখে।
- অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন “সি” থাকার কারণে ত্বক উজ্জ্বল ও চুল মজবুত রাখতে সহায়তা করে।
- অক্সিজেন সরবরাহ বৃদ্ধি করে।
- বিটরুটে কম ক্যালরি ও ফাইবার থাকায় ওজন কমাতে সহায়তা করে।
- ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম থাকায় শরীরের হাড় মজবুত করে।
- বিটরুটে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যার শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।
- বিটরুট ভিটামিন “সি” থাকায় ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।
- বিটরুটের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়তা করে।
- বিটরুট লিভার পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।
বিটরুটের অপকারিতা
- বিটরুট বেশি খেলে প্রস্রাব বা মল লালচে বা গোলাপি রঙের হয়ে যেতে পারে। এটি ক্ষতির দিক না হলেও চিন্তার কারণ হতে পারে।
- যাদের কিডনিতে পাথর হয়েছিল তারা বিটরুট খাওয়া থেকে দূরে থাকুন, কেননা বিটরুটে রয়েছে অক্সালেট যা ক্যালসিয়ামের সঙ্গে মিলিত হয়ে কিডনিতে পাথর তৈরি করতে সহায়তা করে।
- কিছু সংখ্যক মানুষের ক্ষেত্রে বিটরুট খেলে চুলকানি বা এলার্জি দেখা দিতে পারে।
- অতিরিক্ত পরিমাণে বিটরুট খেলে বদহজম ও ডায়রিয়া হতে পারে।
- যাদের রক্তচাপ অতিরিক্ত কম, তাদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত বিটরুট ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
- গর্ভাবস্থায় বিটরুট খেলে মাথা ঘোরা ও ক্লান্তি ভাব দেখা দেয়।
বিটরুট খেলে কি ত্বক উজ্জ্বল হয়?
বিটরুট নিয়মিত খেলে বিটরুটে থাকা আয়রন ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীর থেকে টক্সিন
দূর করে ও রক্ত পরিষ্কার করতে সহায়তা করে এতে ত্বকের গ্লো ফিরে আসে। তাছাড়া
বিটরুটে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদানগুলো মুখের ব্রণ ও দাগ কমাতে সহায়তা
করে। বিটরুটে পানি ও ফাইবার থাকে ত্বক উজ্জ্বলতা ও প্রাণবন্ত দেখায়। বিটরুটে
ভিটামিন সি থাকায় উজ্জলতা ও কমলতা করে।
বিটরুট পাউডার খাওয়ার নিয়ম
বিটরুট নিয়মিত সকালে অথবা ব্যায়ামের সময় খেলে অত্যন্ত কার্যকরী উপকারী পাওয়া
যায়। ১ থেকে ২ চামচ প্রতিদিন খাওয়া নিরাপদ ও উপকারী। তবে বিটরুট সকালে খালি
পেটে খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়। যেকোনো সময় খেতে পারেন, তবে নিয়মিত সময় বজায়
রাখা ভালো। দুধ অথবা পানির সঙ্গে মিশিয়ে বিটরুটের পাউডার খেতে পারেন।
লেখক এর মন্তব্য
প্রিয় পাঠকবৃন্দ আশা করি আমাদের এই আর্টিকেলটি থেকে বিটরুটের উপকারিতা ও
অপকারিতা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন, পাশাপাশি বিটরুট পাউডার খাওয়ার নিয়ম ও বিটরুট
খেলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি হয় তাও জানতে পেরেছেন। বিটরুটের উপকারিতা ও
অপকারিতা আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হলে পরিচিতদের মাঝে শেয়ার করতে ভুলবেন না। এমন
আরও আর্টিকেল পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url